ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় তুলি আক্তার ৩ বছরের শিশু আপন ভাগ্নীকে তার মামা সুমন হত্যা করেছে।শুক্রবার ২৩ জুন দুপুরে উপজেলার লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ চাকপাড়া গ্রামে মামা সুমনের বাড়ীর ট্যাংকি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তুলি আক্তার একই গ্রামের সোহেলের মেয়ে। এ ঘটনায় সুমনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুলিকে তার নানী মরিয়ম বেগম তার বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তুলির মামা সুমন তার দুলাভাই (তুলির বাবাকে) ফোন করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তার মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
শুক্রবার সকালে তুলির বাবা-মা তুলিকে আনতে মামার বাড়িতে গেলে তাদেরকে দেখে তুলির মামা সুমন ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী তুলির মামা সুমন, তার নানী মরিয়ম এবং সুমন মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়াকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পরে সুমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে পুলিশ তুলির লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকার উৎসুক জনতা সুমন মিয়ার বাড়ির আসবাবপত্র এবং সুমনের বাবার মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির উদ্ধার করা হয়েছে। সুমন তার ভাগ্নীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার মা মরিয়ম বেগম, তার স্ত্রী সুমাইয়া বেগমকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং তুলির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।