সময়তরঙ্গ ডেস্ক: টাঙ্গাইলের ছেলে সুজন রাজা বড় পর্দার শিল্পী হচ্ছেন। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ভাইয়ারে’ সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন, ছোট পর্দার অভিনেতা সুজন রাজা।
সুজন রাজা জেলার কালিহাতী থানার বল্লা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ১৯৯৭ সালে কমল সরকার পরিচালিত ক্ষেপাবাসু সিনেমার মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে আসেন। সুমন মাহমুদ পরিচালিত তার প্রথম টিভি নাটক ঢাকার চেয়ারম্যান চ্যানেল ওয়ান-এ প্রচার হয়েছিল।
প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্না’র সিনেমা দেখে অভিনয় করার স্বপ্ন দেখে ভাল একজন অভিনেতা হতে চান তিনি। আর অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চান। এছাড়া সরকারি অনুদানের আব্দুস সামাদ খোকন পরিচালিত ‘শ্রাবণ জ্যোৎসনায়’ তিনি আছেন। ‘ভাইয়ারে’ সিনেমা সকলের মনে বিশ্বাস স্থাপন হয়েছে এটি একটি সামাজিক সিনেমা। এর মাধ্যমে দর্শক আবার হলমুখী হবে বলে মনে করেন চলচ্চিত্রের সাথে সংশ্লিষ্টরা। চলচ্চিত্রটির কাহিনী, সংলাপ, গীত ও চিত্রনাট্য করেছেন আহমেদ ইউসুফ সাবের, প্রযোজক মোঃ ফখরুল হোসেন এবং পরিচালক রকিবুল আলম রকিব।
সিনেমা প্রসঙ্গে পরিচালক রাকিবুল আলম রাকিব জানান, গল্প নির্ভর এই ছবিটি এই সময়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিবেন। ভাইয়ারে চলচিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সংশোধন চলচ্চিত্র নির্মাতা অভিনেতা রাসেল মিয়া। এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার নিয়মিত ও ব্যস্ততম অভিনেতা সুজন রাজা একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ।
এর আগেও তাকে দেখা গেছে ছোট পর্দা ও ডিজিটাল মাধ্যমের বিভিন্ন নাটক, শর্টফিল্ম ও বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনে। ছোট পর্দার এই নিয়মিত অভিনেতা সুজন রাজা এবার ‘ভাইয়ারে’ চলচ্চিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্বপ্রকাশ করেন। এছাড়া এসিনেমায় অভিনয় করেছেন রাসেল মিয়া, এ্যালিনা শাম্মি, সাখাওয়াত সাগর, জারা, সিমান্ত আহমেদ, বর্দা মিঠু, শবনম পারভিন, পীরজাদা হারুনসহ আরও অনেকে।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে সুজন রাজা বলেন, এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র। রাসেল ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি চলচ্চিত্রে আমাকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। তিনি আরো বলেন, ভাইয়ারে আমার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। প্রিয় সিনেমা প্রেমী দর্শকদের শুধু এইটুকুই বলবো পারিবারিক সেন্টিমেন্টের এই ছবিটা দেখলে আপনারা ছবি দেখার যে আত্মতৃপ্তি সেটা পাবেন। সকলকে আমাদের পাশে চাই, আপনারা সিনেমা হলে এলেই বাংলা চলচ্চিত্র আবার ঘুরে দাঁড়াবে। জয় হোক বাংলা চলচ্চিত্রের।