কালিহাতীর-কোকডহরা-ইউনিয়নে-নিজেরাই-নির্মাণ-করল-গোরস্থানের-রাস্তা!

কালিহাতীর কোকডহরা ইউনিয়নে নিজেরাই নির্মাণ করল গোরস্থানের রাস্তা!

কালিহাতী ফিচার

কালিহাতী প্রতিনিধি: কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের সাভার পূর্বপাড়া গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা করছেন এলাকাবাসী। নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির কথা শোনায় আর নির্বাচিত হলে এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ নানাবিধ সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি তাদের কথা রাখেন না।

এই গ্রামে গত ১৫ বছরে নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও সামাজিক গোরস্থান যাওয়ার একটি রাস্তা নির্মাণ করে না দিয়ে দেখিয়েছে নানা অজুহাত। তাই সাভার সামাজিক গোরস্থান থেকে দক্ষিণপাড়া আমির আলী সরকারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা নিজেরা নির্মাণ করেন।

জানা গেছে, দীর্ঘদিনের পুরনো সাভার পূর্বপাড়া সামাজিক গোরস্থানটির কোন রাস্তা না থাকায় মরদেহ গোরস্থানে নিয়ে যেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ব্যতিত গোরস্থানে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এলাকাবাসী দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কোনো সহায়তা করেনি

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় শতাধিক লোকজন নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে পাশের খাল থেকে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে আসা আতিকুর রহমান, দুলাল মিয়া, ফরিদ উদ্দিন, লুৎফর রহমান ও আলহাজ হুরমুজ আলীসহ অনেকে জানান, ভোটের সময় এলেই স্থানীয় প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু ভোট চলে গেলে ভুলে যায়। এ রাস্তা নির্মাণ করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার অনুরোধ করলেও কেউ কথা রাখেনি।

এ বিষয়ে গোরস্থান কমিটির সভাপতি আলীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসহাক উদ্দিন জানান, গত ১৫ বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করলেও গোরস্থানে যাওয়ার রাস্তাটি করে দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সড়ক নির্মাণে এগিয়ে এসেছে।

কোকডহরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাছেদ মিয়া জানান, গোরস্থানের এ রাস্তাটি নির্মাণে তারও প্রতিশ্রুতি ছিল। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একটি প্রজেক্ট ইউনিয়ন পরিষদে দিয়েছেন। অনুমোদনের অপেক্ষার মাঝেই এলাকার লোকজন রাস্তার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

কোকডহরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, গোরস্থানের ওই রাস্তাটি তাদের প্রজেক্ট তালিকায় রয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে। প্রজেক্ট পাশ হলে গোরস্থানের উন্নয়ন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *