নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল শহরের এশিয়া হসপিটালের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হতে যাচ্ছে যুগান্তরের সাংবাদিক খান ফজলুর রহমান। তিনি দৈনিক যুগান্তরের ঘাটাইল প্রতিনিধি। এ বিষয়ে বিচার দাবি করে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। সোমবার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিভিল সার্জন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, খান ফজলুর রহমান গত ১৯ মে মূত্রনালী অপারেশনর জন্য ইউরোলজী বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মাহমুদ-উর-রহমান মাসুদের তত্ত্বাবধানে শহরের সাবালিয়া এশিয়া হসপিটালে দুপুরে ভর্তি হয়। বিকেলে অপারেশনের জন্য তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
অপারেশনের পূর্বে অবশ করার জন্য এনেস্টেশিয়া ডা. শফিকুর রহমান লিটন পর পর তিনবার সূচ পুশ করেন। চতুর্থবারে ইনজেকশন পুশ করা হয়। এরপর অপারশেন সম্পন্ন হয়। অপারেশনের তিনদিন পর থেকে প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হয়। পরবর্তীতে ডা. মো. মাহমুদ-উর-রহমান মাসুদের চেম্বারে গেলে তিনি একজন নিউরোলজী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলেন।
পরে টাঙ্গাইল সেবা ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালে নিউরো মেডিসিন ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা মোসলেহ উদ্দিনের কাছে গেলে তিনি প্রেসক্রিপশন করে দেন। তার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ সেবনেও কোন উন্নতি হয়নি। পুনরায় ২৬ মে ইউরোলজী ডা. মো. মাহমুদ-উর-রহমান মাসুদের কাছে যান। তারপর তিনি অর্থপেডিক ডাক্তার দেখাতে বলেন। তার কথা মতে এশিয়া হসপিটালে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকাররী অধ্যাপক ডা. সুধাংশু কুমার সিংহের কাছে গেলে তিনি প্রেসক্রিপশন করে দেন।
প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ সেবনেও কোন উন্নতি হয়নি। অসহনীয় ব্যথা নিয়ে অপারেশেনের বিস্তারিত বিষয়টি একাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে বলার পর তারা অবশ করার সময় বারবার সূচ পুশ করার কারণে স্পাইনালকড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারনা করেন। বর্তমানে তার বড় ধরনের ক্ষতির আশংক্ষা রয়েছে। তিনি অসহনীয় ব্যথায় ভুগছেন।
গত ১৯ দিন ধরে এনেস্টিশিয়া ডা. শফিকুর রহমান লিটন-এর ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে কোমড়ের প্রচন্ড ব্যাথায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। বিষয়টি এশিয়া হসপিটালের মালিকে জানালে তিনি খুবই দুঃখিত ও লজ্জিত বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে এনেস্টিশিয়া ডা. শফিকুর রহমান লিটন-এর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা করা হবে।