সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুরে যৌথ মালিকানা পুকুরের মাছ বিক্রি করার দায়ে প্রবাসী চাচাতো ভাইয়ের নামে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মিথ্যা মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ইন্দারজানির ভাতগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুকুরের অপর মালিক মামলার স্বীকার সহিদুল ইসলাম নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ডায়েরি করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আতা সরকারের ছেলে মুসকেত আলী ও তার চাচাতো ভাই সহিদুল ইসলামের মালিকানাদীন ৩০ শতাংশ জমির উপর একটি পুকুর খনন করেন। গত ১০মে ওই পুকুরের সব মাছ পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলা আব্দুল মান্নান মিয়ার কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন মুসকেত আলী। মাছ বিক্রির আট দিন পর প্রবাস থেকে বাড়ি আসেন ওই পুকুরের আরেক মালিক সহিদুল ইসলাম। মাছ বিক্রির টাকা চাওয়ায় টাঙ্গাইল আমলী আদালতে সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে মাছ মারার ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মিথ্যা মামলা করেন মুসকেত আলী।
পুকুরের এক অংশের মালিক সহিদুল ইসলাম বলেন, মুসকেত সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। আমি প্রবাসে থাকতেই আমরা যৌথভাবে পুকুর খনন করি। গত কয়েক বছর পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা তিনি নিজেই আত্মসাৎ করে আসছেন। দেশে আসার আগেই শুনি এবারো তিনি ২৫ হাজার টাকায় পুকুরের সব মাছ বিক্রি করেছেন। মুককেত আলীর কাছে মাছ বিক্রির টাকা চাইতেই তিনি রেগে গিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আমার বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে মাছ মারার ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মিথ্যা মামলা করেন তিনি। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মুসকেত আলীর মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ওই পুকুরের মাছ ক্রেতা ঘাটাইলের আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা ২৮ জন মিলে ওই পুকুরের মাছ ২৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছি। মুসকেত নিজে বিক্রি করে নিরাপরাধ চাচাতো ভাই সহিদুলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ৩০ শতাংশের পুকুরে ৭ লাখ টাকার মাছ কেমনে থাকে?
এ ঘটনায় কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন বলেন, এটি তাদের পারিবারিক সমস্যা। শুক্রবার বিষয়টি সমাধান করতে সালিশ বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।