নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ী আলী আকবর বাপ্পী হ’ত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। টাঙ্গাইল থানা পুলিশ তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করার পরে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। হ’ত্যা মামলায় শনিবার (২৭ মে) বিকেলে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু সালাম মিয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। এ হ’ত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পাড় দিঘুলিয়া এলাকার মোঃ নূর মিয়ার ছেলে মোঃ রাজু আহম্মেদ হাবলু (৩০), ঝন্টু বেপারীর ছেলে মোঃ খোকন (৩১) ও মৃত শহীদ বেপারীর ছেলে ওলি (৩০)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মৃত বাপ্পী ও গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজারে খুচরা মাছ ক্রয়-বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। পার্ক বাজারে দুইটি মাছের দোকান ভাগাভাগি নিয়ে আসামী খোকন, ওলি ও মৃত বাপ্পির মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। দোকান ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে আসামী মোঃ রাজু আহম্মেদ হাবলু, খোকন ও ওলি তিনজনে মিলে বাপ্পিকে হ’ত্যা করে দুইটি দোকান তিন ভাগ করে তিনজনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী গত ২২ মে বিকেলে কালিপুরে খোকনের অটো গ্যারেজে বসে তারা বাপ্পীকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী মোঃ রাজু আহম্মেদ হাবলু বাপ্পিকে নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দিঘুলিয়া ব্রীজের পাশে নদীর পাড়ে বটগাছের নিচে নিয়ে খোকন ও ওলির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। পরে রাত ১.৩০ মিনিটের দিকে খোকন ও ওলি তাদের হাতে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দা-বটিসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে বাপ্পীর উপর হামলা করে। পরে দিঘুলিয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপরে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সালাম মিয়া আরও জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক দিক-নিদের্শনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হ’ত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয় এবং সকল আসামী স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিটের দিকে দিঘুলিয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বাপ্পীকে হ’ত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ২৩ মে নিহত বাপ্পীর মা আজিমন বেগম বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে একটি হ’ত্যা মামলা দায়ের করেন।