নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না। বিএনপি আন্দোলন করে কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবে না। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে,আমরা সেটিই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবেলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হওয়ারও কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোন নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা যেটি চাই- দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। এ ক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা। আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছিল। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ,
বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তারানা হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক প্রমুখ ।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি পদে মোট ১০জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন, তারা হলেন- আবু সাইম তালুকদার বিপ্লব, বিজয় দে, মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, মো. মাসুদ পারভেজ, মনিরুজ্জামান লিটন, মো. মনিরুজ্জামান খান (মিন্টু), মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইফুল ইসলাম লাবলু, খন্দকার কামরুল হাসান ও মেহেদী হাসান ফেরদৌস ইমু।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ১১জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন, তারা হলেন- নাজমুল হাসান, মো. রেজাউল করিম সাগর, মো. আব্দুল্লাহ আল রাকিব, মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, মো. মফিজুর রহমান মফিজ, ইসতিয়াক আহমেদ রাজীব, মো. আল মামুন, মো. মনির সিকদার, নূর মোহাম্মদ সিকদার মানিক, মো. তানভীরুল ইসলাম হিমেল ও মীর সাব্বির।