ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলায় হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় নিজ ঘর থেকে সুলতান মাহমুদ (৫০) নামে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনগত গভীর রাতে ঘাটাইলের জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২৬ মে) ঘাটাইল থানার অফিসার (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়- সুলতান সরকার উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামের মৃত মুছা সরকারের ছেলে। তিন বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সুলতান সরকারের। তার কোনো সন্তান নেই। তিনি একাই বাড়িতে থাকতেন। গত তিন দিন যাবৎ গ্রামের লোকজন তাকে লোকালয়ে দেখেনি। তার আত্মীয়-স্বজনরাও তার কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি।
নিহতের বড় ভাই কেএম নাছির উদ্দিন জানান, সুলতান মাহমুদ বাড়িতে একাই থাকতেন। এ ঘটনার ৪-৫ দিন আগে সুলতানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়। গত মঙ্গলবারও (২৩ মে) এলাকার মানুষ তাকে দেখেছে। কিন্তু এরপরদিন সুলতানের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও রিসিভ হচ্ছিল না।
এলাকার অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সুলতানের খবর না পেয়ে পুলিশে চাকুরিরত তার এক ভাগ্নের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ভাগিনা আবু সামা (পুলিশের এসআই হিসেবে জামালপুরে কর্মরত) গ্রামের জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন যে কয়েক দিন যাবৎ তার মামা সুলতানকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। ঘরে বাতি জ্বললেও মানুষের কোনো সাড়াশব্দ নেই। বিষয়টি ঘাটাইল থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ সুলতানের খোঁজে তার বাড়িতে গেলে ঘরের ভেতর খাটের ওপর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য- সুলতানেরা ছয় ভাই। ভাইদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে বছর তিনেক আগে। লাশ দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কী কারণে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষেয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই তাদের।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে গালা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাই সিরাজ সরকার ও ভাতিজা ফয়সালকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।