কালিহাতী প্রতিনিধি: কালিহাতীতে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ও ঝড়ের সময় গাছ নিচে চাপা পড়ে কাজুলী রানী দাস (৩৫) নামে এক রেমিটেন্স যোদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়। কাজুলী রানী দাস কালিহাতী পৌরসভার সালেংকা চকপাড়া শ্মশান ঘাট গ্রামের সুশীল চন্দ্র দাসের মেয়ে ও নরহরি দাসের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১০ টার দিকে কালিহাতী পৌরসভার সালেংকা চকপাড়া শ্মশান ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী ওই এলাকার নরহরি চন্দ্রের শ্যালিকা। এ ছাড়া ঝড়ে ওই গ্রামের আশরাফ, স্বপন, শমসের, শংকর, হুমেরা, মজনুসহ ১০-১২ জনের ঘর ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঝড়ের সময় পরিবারের সদস্যরা ঘরেই ছিলেন। রাত ১০টার দিকে ঘরের পাশের একটি গাছ তাদের ঘরের ওপর ভেঙে পড়ে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা দেখেন পরিবারের অন্যান্যরা বেঁচে গেলেও কাজুলী মৃত্যুবরণ করেছেন। কাজুলী তার বড় বোনের বাড়িতে থাকতেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তার লাশ গাছের নিচ থেকে উদ্ধার করে।
মারা যাওয়া কাজুলী রানী দাসের বড় বোন সুশিলা রানী দাস জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। সে সময় বাড়ির উঠানের একটি গাছ ভেঙে ঘরের ওপরে পড়ে। তখন চাপা পড়া অন্যরা সরে যাওয়ার সক্ষম হলেও রানী দাস ভেঙে পড়া গাছটি ঘরের চাল নিয়ে কাজুলীর ওপরে পড়ে। এতে তার মৃত্যু হয়।
কালিহাতী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন মোড়ল বলেন, গাছের নিচ থেকে ওই মহিলার উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের তিনটি টিনের ঘরের মধ্যে দুইটি ঘর ও ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এতে করে তাদের আনুমানিক দুই লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
কালিহাতী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নুরুন্নবী সরকার বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
ঝড়ে নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন জানান, পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।