হেমায়েত হোসেন হিমু
কাটে নির্ঘুম রাত; ঘুমাতে পারি না দুঃস্বপ্নের ঘেরাটোপে
ছাদের কার্ণিশ, সিলিং-এ ঝুলে আছে হাজার কোটি দীর্ঘশ্বাস-
ঝুল বারান্দায় উঁকি দেয়া মৃদু জ্যোৎস্নার কারসাজিতে
আমার ঘুম নিয়ে পালিয়ে যায় ক্ষুদে ঘুমপাড়ানি!
কর্মহীন বড়ো সস্তার জীবন আরো সস্তা লাগে
মানুষ দেখতে চেয়ে মানুষের জিভ দেখে ফেলি
মিছে মায়া-ছলনায় নানা প্রেম-ভালোবাসারা লুটোপুটি খায়
রাণী ভিক্টোরিয়া রোডের আবেগে ঝরে মিথ্যা আশ্বাস
প্রেমে-অপ্রেমে ভরসন্ধ্যায় যে গেছে চলে;
শ্যামাবাবুর খাল বেয়ে দূর লৌহজং-ধলেশ্বরীতে
তারও তো ঠাঁই মিলে, না থাকার শূন্য রাতে, হৃদয়ের কুঠুরিতে।
কেউ এসে ছিটিয়ে দেবে না সামান্য খুদ-কুড়ো;
আদুরে শালিক ঠুকরে খাবে না এ জন্মের ফসল
যেখানে নেই মাধুরী, নেই হতাশারা, বাসনা নিয়ে আমার।
এ জন্ম পৈতৃক আবেগের মাশুল; ভণ্ডামিতে ভরপুর
মানি না এ শহর ভণ্ডের ভাগাড়; ইহকাল-পরকালের সম্পদ
ঘুমের মধ্যে হাতছানি দেয় গোপন দীর্ঘশ্বাসে
আমার ঘুম নিয়ে পালিয়ে যায় ক্ষুদে ঘুমপাড়ানি!
রাতের আলো-ছায়া তবু ভালো, অন্ধকারেও আগলে রাখে খুব।