গোপালপুর প্রতিনিধি: জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে উপজেলায় মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক সন্তোষ কুমার দত্ত। আর তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফলদা শরিফুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। এ নিয়ে প্রশসংসায় ভাসছেন প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত ও তাঁর বিদ্যালয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৩০টি মাধ্যমিক বিবদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছর উপজেলা পর্যায়ে ফলদা শরিফুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ১৯৭৩ সালে ফলদা প্রগতি ক্লাব নামে একটি সংগঠন থেকে শরিফুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী এবং ১১জন শিক্ষক রয়েছেন। পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্ডস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউট (পিবিজিএসআই) জরিপে বিদ্যালয়টি উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
এছাড়াও বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন লেখক, কবি, সাহিত্যেক, গবেষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ, শহীদ মিনার, বিজ্ঞানী, শিল্পী ও স্থানীয় গুণী ব্যক্তিদের সজ্জিত ছবি, সততা ষ্টোর, ক্রীড়াক্লাব, বিজ্ঞানক্লাব ও গ্রন্থাগার, সিসি ক্যামেরা, বিদ্যালয় আঙিনায় ফলজ ওষধি, বনজসহ ৫১ প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। মনোরম পরিবেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাল্য বিয়ে, মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং বিরোধী প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য সদস্যরা নিয়মিত তদারকি করেন; যা অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে ব্যতিক্রম এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, উপজেলার মধ্যে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত ফলদা শরিফুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক হিসেব যোগদান করে। তিনি ১৯৯৮ সালে গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন। ফলদা যোগদানের শুরু থেকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে সকলের প্রচেষ্টায় কাজ করেছে তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন সমাজকর্মী ও সাংবাদিকতা পেশাতেও যুক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি গোপালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত বলেন, শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ও নিজেও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হওয়ায় ভীষণ আনন্দিত। এ অর্জন আমার একার নয়, সবার। সব সময়ই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান বৃদ্ধির লক্ষে সচেষ্ট থাকতে চেয়েছি। এছাড়া বিদ্যালয়ে পাঠদানের সৃজনশীলতা, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মূল্যায়ন ও একাডেমিক সনদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত বিভিন্ন গুণাবলির ভিত্তিতে বিদ্যালয় ও আমাকেও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এমন সফলতার জন্য শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।