নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের বিসিক তারুটিয়া গ্রামের ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের অভিযোগ উঠেছে ঐ গ্রামেরই রাশেদ আলীর পুত্র আজম (৩০) মিয়ার বিরুদ্ধে। আর অপহৃত লিমা (১৩) তারুটিয়া গ্রামের লিটন মিয়ার কন্যা। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৫ মে) লিমা তার নিজ বাড়ী হতে তারুটিয়া উদ্য়ন উচ্চ বিদ্যালয় যাওয়ার পথে অপহরণ হয়। অনেক খুঁজে মেয়েকে কোথাও না পেয়ে ঐদিন রাতেই টাঙ্গাইল সদর থানায় আজমকে প্রধান আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন মেয়ের মা রাশেদা বেগম।
রাশেদা বেগম জানান, আমি মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে কিছুদূর এগিয়ে দিয়ে আসি। পরে এলাকাবাসির কাছে জানতে পারি পথিমধ্যে আমার মেয়ে পাকা রাস্তায় উঠলে পরপর দুটি সিএনজি আমার মেয়ের গতিরোধ করে মুখ চেপে ধরে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আমার মেয়ে তাদের হাত থেকে ছোটার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্ত পারে নাই।
অভিযুক্ত আজম কিছুদিন যাবত ০১৬২০-৬২৫৫৫২ নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত নম্বরে ফোন করে আমার মেয়েকে চাইতো। আমার মেয়ের কাছে ফোন না দেয়ায় আমাকে হুমকি দিতো আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো। আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতো আজম। আমার বিশ্বাস, আজমই তার বন্ধুদের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে আজমের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই, আমি বিষয়টি জানি না। কে বা কারা আমার ফোন ব্যবহার করে ফোন করে তাদের থ্রেড দিছে। তাছাড়া বর্তমানে আমি এলাকাতেই বসবাস করছি।
টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই মোঃ আবুল বাসার বলেন, আসামীর মোবাইল নম্বর ট্রাকিংয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার ও শনিবার অফিস বন্ধ থাকায় সিডি আর হাতে পাইনি। সিডি আর হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালাম মিয়া পিপিএম জানান, আমি বিষয়টি অবগত নই, খোঁজ নিয়ে দেখছি।