ভূঞাপুরে কিশোরীকে জিম্মি করে দেহ ব্যবসা: স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

ভূঞাপুরে কিশোরীকে জিম্মি করে দেহ ব্যবসা: স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

Uncategorized

ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে কিশোরীকে ভাড়া করে এনে দেহ ব্যবসা করার অপরাধে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ মে) সকালে গোপালপুর উপজেলার নলীন বাজার এলাকা থেকে কিশোরীসহ স্বামী-স্ত্রীকে গোপালপুর থানা পুলিশ আটক করে ভূঞাপুর থানায় সোপর্দ করে।

এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা থেকে আনা ওই কিশোরী ভূঞাপুর থানায় পুুলিশের হেফাজতে রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া গ্রামের হবি মন্ডলের ছেলে মিন্টু এবং তার স্ত্রী তানিয়া (৩২)।

জানা গেছে, মিন্টু ভূঞাপুর পৌরসভার ফসলান্দি এলাকায় নুরুল ইসলামের বাসা ভাড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারী এনে দেহ ব্যবসা করেন। এই ব্যবসায় তার স্ত্রীও জড়িত ছিল। গত মার্চের ২৩ তারিখে সাতক্ষীরা থেকে একজন কিশোরীকে ভূঞাপুর নিয়ে এসে ব্যবসা শুরু করেন।

এ সময় উপজেলার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ওই কিশোরীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজ করানো হয়। শুক্রবার মিন্টু ও তার স্ত্রী তানিয়া ওই কিশোরীকে গোপালপুরের নলীন এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যায় পতিতাবৃত্তির জন্য। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে কিশোরীসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিন্টু ও তার স্ত্রী তানিয়ার বিরুদ্ধে মানবপাচার ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, ওই কিশোরীকে সাতক্ষীরা থেকে এনে মিন্টু ও তার স্ত্রী ব্যবসা করতো। এছাড়া তার স্ত্রীও পতিতাবৃত্তির কাজ করতো। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শনিবার তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হবে। তিনি আরও জানান, এছাড়া সাতক্ষীরা থেকে আনা ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এছাড়া ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিন্টু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *