বাসাইল প্রতিনিধি: বাসাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিরিকপুর গ্রামের মৃত মুছিরাম রাজবংশীর স্ত্রী মরনী রাজবংশী (৯৪) অবশেষে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলেন। সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদমাধ্যমে ‘আর কত বয়স হলে ভাতার কার্ড পাব আমি?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নূরে-ই-লায়লা ও বাসাইল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহেলের নজরে সংবাদটি আসলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এর ফলে বৃদ্ধা মরনী রাজবংশীর বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে মরনী রাজবংশীর নিজ বাড়ি মিরিকপুর গিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দিয়েছেন ইউএনও পাপিয়া আক্তার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নূরে-ই-লায়লা, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহেল, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গৌরাঙ্গ সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন, সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শুভঙ্কর সূত্রধর প্রমুখ।
কার্ড হাতে পেয়ে মরনী রাজবংশী বলেন, এই বয়সে এসে ভাতার কার্ড পাবো কল্পনাও করতে পারি নাই। আমি ভাতার কার্ড পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকা দিয়ে আমি ঠিকমতো ঔষধ কিনে খেতে পারব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার বলেন, আমরা বয়স্ক মরনী রাজবংশীর বিষয়টি অনলাইন ও পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে তার অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তার বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করেছি। শেষ তিন বছর ধরে কোনো বয়স্ক ভাতা আসছে না। কেউ যদি মারা যায় তাহলে আমরা তার কার্ড প্রতিস্থাপন করতে পারি।