নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীন আওয়ামী লীগ নেতার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ধ’র্ষণ মামলার আরেক আসামী আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাব আদালতে আত্মসম্পর্ণ করেননি বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, কিশোরীর ধ’র্ষণ মামলার প্রধান আসামী আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীন জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও পরবর্র্তীতে চেম্বার আদালত তাদের জামিন স্থগিত করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
জানা যায়, এর আগে গত ১৭ এপ্রিল ধ’র্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবকে হাইকোর্টের চার সপ্তাহের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবকে হাইকোর্টের দেওয়া ধ’র্ষণ মামলার জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে তাদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির বড় ভাই এবং জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব। গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে (১৭) ধ’র্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলা হওয়ার পরদিন ওই কিশোরী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা বলে প্রমাণ পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড।