টাইটানিক

টাইটানিক

শিল্প-সাহিত্য

জুলফিকার খান

সেদিন ছিল ১০ এপ্রিল ১৯১২ সাল
সমস্ত বিশ্বকে অবাক করে
প্রথম যাত্রা শুরু করল টাইটানিক
ইংল্যান্ডের সাউদামটন থেকে শুরু করল
তার প্রথম যাত্রা, গন্তব্য নিউইয়র্ক।
জন্ম আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট বন্দরে
তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৬ বছর।
যারা বিশ্বাস করেনি, তারাও তাকিয়ে আছে
সমুদ্র পথে, টাইটানিক, সবার মুখে টাইটানিক।
সত্যি সমুদ্র পারি দিচ্ছে টাইটানিক!
যাত্রাপথে সমুদ্রে চলমান কয়েকটি জাহাজ
বিপদসংকেত পাঠালো টাইটানিককে
কিন্তু ক্যাপ্টেন সতর্ক না হয়ে ছুটে চলল
তার গন্তব্য নিউইয়র্ক এর দিকে
কী হলো হঠাৎ, জাহাজটি কেঁপে উঠল কেন
কেন কেঁপে উঠল
কে দেবে তার জবাব?
তার উত্তর চাপা পড়ে আছে অতলান্তিকের গভীরে
হিমশীতলের গাঢ় অন্ধকারে।
তারপর যা হবার তাই হলো
কয়েক হাজার জীবন নিয়ে টাইটানিক
ডুবে গেল সমুদ্র বক্ষে
সমস্ত বিশ্ব অবাক তাকিয়ে আছে সেই দিকে
লাইফবোটে দেড় হাজার জীবন রক্ষা পেল,
আর বাকি দেড় হাজারের বেশি জীবনের
সলিলসমাধি হলো মহাসমুদ্রের গভীরে।
বিশ্ববিবেকের প্রশ্ন- কেন এমন হলো
কীভাবে টাইটানিক ডুবে গেল, কে বলবে তা!
দুনিয়া কাঁপানো টাইটানিক ডুবে গেল,
এই নির্মম সত্যিটাও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
জলের আঁধারে বিশাল ভয়ঙ্কর পর্বতসদৃশ্য
সর্বনাশা হিমশৈলের আঘাতে, যা নাকি পানিতে
ভেসে বেড়ায়- কারণ এই বরফ পানির চেয়ে হালকা।
সবার মনে প্রশ্ন- কেন ক্যাপ্টেন ই. জে. স্মিথ সংকেত
পাওয়ার পরও সতর্ক হলেন না
আজ তার ভুলের জন্য হাজার জীবন নিয়ে
হিমশৈলের আঘাতে বিধ্বস্ত টাইটানিক
ক্ষয়ে পড়ল অতলান্তিকের গভীরে।
বাকি বিশে^র কেউ শোনেনি যাত্রীদের আর্তচিৎকার!
অবাক বিশ্ব, এত আলোচিত
টাইটানিকের এমন করুণ পরিণতি, পৃথিবী স্তম্ভিত!
এবার শুরু হলো বিজ্ঞানি, গবেষক
এদের পালা, কেন টাইটানিক ডুবে গেল, তৈরির
সময় কোন ভুল ছিল কিনা, তা না হলে
এত তাড়াতাড়ি টাইটানিকের তলা ভেঙে গেল
সেখান দিয়ে পানি প্রবেশ করার ফলে
টাইটানিক পতিত হলো সমুদ্রের তলানিতে।
বেলফাস্ট বন্দরে তৈরির নকশা খোঁজা শুরু হলো।
আজো চলছে সেই গবেষণা, চলছে
বাকবিতণ্ডা, খুঁজে ফিরছে নানা প্রশ্নের জবাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *