তুমি যে মহাবিস্ময়

তুমি যে মহাবিস্ময়

ফিচার শিল্প-সাহিত্য
(সেক্সপিয়ার স্মরণে)

জুলফিকার খান

হে মহাজ্ঞানী মহাজন
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি তুমিও একজন,
মহাবিশ্বের মহাবিস্ময় তুমি
তোমার সৃষ্টি অনন্ত রহস্যময়।

আকাশে-বাতাসে অন্তহীন শূন্যতায়
তোমায় দেখেছি,
তোমায় দেখেছি সমুদ্রের গহন গভীরতায়
তোমায় দেখেছি বিস্তীর্ণ সৈকতে
বালুকাবেলায়।
আরো দেখেছি মহাদিগন্তের
সীমাহীন উদারতায়।
দেখেছি তোমায়, তোমা কর্তৃক রচিত
পুস্তক- এ্যান্টনি এন্ড ক্লিউপেট্রায়।

তোমার উদ্দেশ্যে পথ হেঁটেছি
বনানীর নিবিড় নির্জনতায়।
দেখেছি তোমায় শৈলমালার
অপার্থিব ধ্যানমগ্নতায়, যেমন
মহাকাশের নিত্যকালীন ঐশ্বরিক বাণীর
প্রকাশ ঘটে ঠিক তেমনি।
তোমার সাহিত্যরচনায় মহামানবের
মহাজীবনের যেন এক চিরন্তন
মহাসঙ্গীতের ঐক্যতান।
তোমার জীবন তোমার কর্ম
সব কিছুই যেন রহস্যময়
তাই তোমায় নিয়ে সকলের জিজ্ঞাসা
কৌতূহলের কোন শেষ নেই।
কে তুমি! কী তোমার আসল পরিচয়?
পল্লিমায়ের কোলে জন্ম তোমার
কোন্ শক্তির বলে কোন্ জাদুতে ভর করে
উঠে এলে তুমি বিশ্বসাহিত্যের শিখর চূড়ায়!

তোমার যশ-খ্যাতি জড়িয়ে আছে
হিমাদ্রির শিখরে এভারেস্টের শৃঙ্গে
তোমার তুলনা শুধু তোমাতেই শোভা পায়।

তুমি মানুষের জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ
আনন্দ-বেদনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, লোভ-লালসা
প্রেম-বাসনার এক অনন্ত রূপকার।
তুমি চিরনবীন, তুমি যোদ্ধা, তুমি বীর
তুমি শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, শ্রেষ্ঠ নাট্যকার।

তুমি বরণীয়, তুমি অভিন্ন, তুমি অনন্য,
তুমি সাহিত্যভুবনে স্বপ্নসারথি
তাই তুমি চিরস্মরণীয়
তুমি চিরবিশ্বয়- বিশ্ববিধাত্রির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *