ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ আবার মুখোমুখি: উত্তেজনা

ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ আবার মুখোমুখি: উত্তেজনা

ঘাটাইল টাঙ্গাইল ফিচার রাজনীতি

ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের আবার মুখোমুখি অবস্থানের কারণে সাধারণ মানুষ যে কোন নতুন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আতংকে রয়েছেন।

জানা যায়, দুই ভাগে বিভক্ত ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু। আর অপর পক্ষে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। আমানুর রহমান খান রানা এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের বড় ছেলে।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সন্ত্রাসী হামলায় আমানুরের পক্ষের দুজন আহত হওয়ার ঘটনার জন্য শহিদুল ইসলাম পক্ষকে দায়ী করেছে আমানুর রহমান খান রানার পক্ষ। শহিদুল ইসলামকে ঘাটাইলে প্রতিহত করার ঘোষণায় এ জন্য থানায় জিডি করেছেন তিনি। এ নিয়ে দুই পক্ষ আবার মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে এখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে এবং উত্তেজনা বেড়ে যে কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ঘাটাইলের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ২৮ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে স্থান পাননি আমানুর রহমান খান রানাসহ তার অনুসারীরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি মিছিল, সমাবেশ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার শহিদুল ইসলাম লেবুর অনুসারীদের হামলায় পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হায়দার তালুকদার ও আমানুরের কর্মী মোঃ জুনায়েদ আহত হন। ওই দিন বিকেলে আমানুর রহমান খানের অনুসারীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তারা এ হামলার জন্য শহিদুল ইসলাম এবং তার অনুসারী আবু সাঈদ রুবেলকে দায়ী করেন। তারা শহিদুল ইসলামকে উপজেলা পরিষদে ঢুকতে দেবেন না বলে ঘোষণাও দেন। হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তাঁরা।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটাইল থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, গত বুধবার ঘাটাইল কলেজ মোড় এলাকায় সমাবেশ করে আনেহলার ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান তাকে হুমকি দিয়েছেন। সমাবেশে ঘোষণা করেছেন, তাকে উপজেলা পরিষদে ঢুকতে দেবেন না এবং উপজেলা পরিষদের কোনো কাজকর্ম করতে দেবেন না। উপজেলা পরিষদে কার্যক্রম করতে গেলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলবেন।

আনেহলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনেহলার ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান আমানুর রহমান খানের অংশের নেতা । তিনি জানান, শহিদুল ইসলামের নির্দেশে তার অনুগত রুবেলের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি (শাহজাহান) শহিদুলকে হত্যার হুমকি দেওয়া কথা অস্বীকার করেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু জানান, তারা সুযোগ পেলে তার ওপর হামলাসহ বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেকমত সিকদার বলেন, আমানুর রহমান খান রানার অনুসারীরা সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঘাটাইলে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা হবে। সেখানে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *