ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি দোকানে হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ভিজিডি) চাল গোপনে বিক্রি করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেখ ফরিদ নামে ওই ইউনিয়নের সচিবের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডির চাল বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল গত ১৩ এবং ১৪ তারিখে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিতরণে অনিয়ম করায় গোডাউনে অনেক বস্তা চাল থেকে যায়। পরে সেই চাল ২০ এপ্রিল প্রকাশ্যে বিক্রি করার সময় তাদের নজরে আসে।
তারা আরও জানান, শেখ ফরিদ সুশীল নামে এক গ্রাম পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আজাদের ভ্যানে চালের বস্তাগুলো গোডাউন থেকে বের করেন। তারপর পরিষদ সংলগ্ন এক ওষুধের দোকানে নিয়ে সরকারি পাটের বস্তা থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল ভরেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। তবে প্রশাসনের লোকজন আসার আগেই সচিব শেখ ফরিদ এবং আজাদ পালিয়ে যান। এরপর অভিযান চালিয়ে প্রশাসনের লোকজন বিক্রি করা চাল জব্দ করেন।
এদিকে গ্রামপুলিশ সুশীল বলেন, সচিব ফোন করে পরিষদে আসতে বললে আমি সেখানে যাই। তিনি আমাকে বস্তাগুলো গুনতে বলেছিলেন। পরিষদে গিয়ে দেখি আজাদ ভ্যান গাড়িতে চালের বস্তাগুলো তুলছেন। এর বেশি আমি কিছু জানি না। আজাদ মাঝেমধ্যেই পরিষদ থেকে এভাবে চাল নেন বলেও জানান সুশীল।
এ বিষয়ে জানতে আলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, কয়েকদিন আগে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় কয়েকজনের কার্ড না আসায় চালগুলো গোডাউনে রাখা হয়। সকালে খবর পেয়ে পরিষদের গুদামের তালা ভেঙে দেখি চালের বস্তাগুলো নেই। এছাড়া সচিবকেও পরিষদে পাওয়া যায়নি। পরে ইউএনওর উপস্থিতিতে আজাদ মিয়ার দোকান থেকে ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, চাল উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ ওঠা ওই সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানানো হবে।