গোপালপুর প্রতিনিধি: গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খরার কবলে বিনষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ। প্রচন্ড খরায় মাঠ পুড়ে চৌচির; একদিকে খাঁ খাঁ রাস্তাঘাটসহ ফসলি মাঠ অন্যদিকে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ।
এদিকে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় নানান ধরনের কীটপতঙ্গ, পোকামাকড় এবং বিভিন্ন রোগ বালাই দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে চলতি মৌসুমের বোরো ধান। প্রয়োজন মতো বিদ্যুৎ না থাকায় সেচ দিতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে মটর মালিকদের। এতে ফসল নিয়ে শঙ্কায় আছেন প্রান্তিক কৃষক।
মোহনপুর গ্রামের মটর মালিক খঃ মুক্তার জানান, এখন ধান থোর হয়েছে, তাই সেচের বিশেষ প্রয়োজন। এদিকে অনেক দিন হলো বৃষ্টি হয় না, আবার চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। এতে ফসল নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি। এখানকার অধিকাংশ কৃষকই ব্রি ধান ২৮, ২৯, ৮৯ এবং হাইব্রিড এই ৩ জাতের ধান বেশি বেশি চাষ করে থাকেন। এর মধ্যে ব্রি ধান ২৮ আগে সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষকদের মাঝে এই ধান চাষ করার আগ্রহ বেশি।
কিন্তু এ বছর আবহাওয়া প্রতিকূলতার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক ২৮ ধানের ফসলী জমি। ধানের শীষ চিটা হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বসে নেই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ। তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষকদের মাঝে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এর কাছে ধানের শীষ চিটা হয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারনত এটা ব্লাস্ট নামক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ধানের শীষ চিটা হয়ে থাকে। এই রোগ মূলত আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারণে বিস্তার ঘটতে থাকে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া এবং কি মহল্লায়-মহল্লায় কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করছি এবং বিভিন্ন সু-পরামর্শ দিচ্ছি তাদেরকে।