সখীপুর প্রতিনিধি: একদিকে প্রচন্ডতাপদাহ ভেপসা গরম আবার সেই সঙ্গে বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং,ফলে জনজীবন বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। রমজানের শুরু থেকে সখীপুরে দেখা দিয়েছে নজরবিহীন লোডশেডিং। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সেহরি, ইফতার ও তারাবি নামাজের সময়ে লোডশেডিং হওয়ায় মুসল্লিদের ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আবার কিছু সময় বিদ্যুৎ থাকলেও থাকছে না পরিমান মত ভোন্ডেজ। লো-ভোল্টের কারণে সঠিক সময়ে কৃষক ক্ষেত্রে পরিমানমত সেচ দিতে না পাড়ায় ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলচাষী।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, প্রথম রোজা থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম-মহল্লায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ইফতার ও তারাবি নামাজ পর্যন্ত অনেক স্থানে বিদ্যুত থাকে না। আবার কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ এসেই চলে যায়। বিদ্যুতের এমন আচরণে রাতের বেলা একটু স্বস্তিতে ঘুমাতে পারছেন না গ্রাহকরা। শিক্ষার্থীরা রাতের বেলা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছেন না। শুধু তাই নয়,প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কল-কারখানা, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা,ব্যাংকিং সেবাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিহীন ঈদ মার্কেটে ব্যবসায়-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
পৌরশহরে অবস্থিত ফ্যাশন টাচের মালিক মোবারক হোসেন বলেন, দিনে বা রাতে বেশির ভাগ সময়ে বিদ্যুৎ থাকে না । আসন্ন ঈদ এখন ঘন ঘন লোডশেডিং হলে ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
উপজেলার ইজিবাইকচালক শানশাহ বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিং এর ফলে ইজিবাইক চার্জ দিতে পারি না। আর সড়কে ইজিবাইক না চললে খামু কি?
এ বিষয়ে সখীপুর পিডিপির (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর তালুকদার বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে। রমজানে কৃত্রিমভাবে লোডশেডিং করা হচ্ছে না এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেহরি ও ইফতারের সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।