ভূঞাপুরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘ভূঞাপুর থানা মুক্ত পাঠাগার’

ভূঞাপুর

ভূঞাপুর প্রতিনিধি: গ্রামগঞ্জ বা শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে পাঠাগার স্থাপন করার পাশাপাশি এবার জ্ঞান অর্জনের পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে থানার ভেতর। এমন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।

অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘ছায়া নীড়’-এর সৌজন্যে তার বর্তমান কর্মস্থল ‘ভূঞাপুর থানা মুক্ত পাঠাগার’ স্থাপন করেছেন। এতে থানার ভেতরে সেবাগ্রহীতারা সেবা নিতে এসে অপেক্ষারত লোকজন থানার ভিতরে মুক্ত পাঠাগার থেকে যেকোন ধরণের বই সংগ্রহ করে বই পড়তে পারছেন। এ ছাড়াও পাঠাগার থেকে রেজিস্টার খাতায় এন্ট্রির মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বই পড়ার সুবিধা রয়েছে।

মুক্ত পাঠাগারে শিশু কিশোরদের বই থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য, বিনোদন, রাজনীতি, অর্থনীতি, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রচনা সমগ্র, জীবনী, ছোট গল্প, কবিতা, ভাষাতত্ত্ব, খেলাধূলা, দেশি-বিদেশি গুণী ব্যক্তিদের লেখা নানা ধরণের বই বিজ্ঞানসহ সাহিত্যের প্রায় সকল শাখার শতাধিক বই রয়েছে এই পাঠাগারে। এছাড়াও স্থানীয় লেখকদেরও বিভিন্ন ধরণের বই সংগ্রহে রয়েছে।

জানা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ছায়া নীড় নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সৌজন্যে ওসি ফরিদুল ইসলাম থানার ভিতর এক কোণায় ‘ভ‚ঞাপুর থানা মুক্ত পাঠাগার’ স্থাপন করেন। মূলত থানায় নানা ধরণের লোকজন সেবা নিতে আসে। অনেক সময় তাদের অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষার সময়টুকু সেবাগ্রহীতারা যা’তে বই পড়ে অপেক্ষা করে সে লক্ষ্যে থানার ভেতরে এমন একটি পাঠাগার স্থাপন করে থানা কর্তৃপক্ষ।

থানায় সেবা নিতে আসা রফিকুল ইসলাম রবি ও শেখ রুবেল বলেন, থানায় ওসির স্যারের সাথে একটি বিষয়ে আলোচনা করতে আসি। তখন দেখি তিনি অন্য একটু কাজে ব্যস্ত। পরে অফিসের এক কোণায় চোখ যায়, দেখি ভূঞাপুর থানা মুক্ত পাঠাগার। অপেক্ষারত সময়ে সেখান থেকে ‘ভূঞাপুরের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘ভাষার প্রতি ভালবাসা’ নামক বই সংগ্রহ করে পড়ি। আমরা সত্যিই মুগ্ধ থানার ভিতর এমন একটি পাঠাগার স্থাপন করায়।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ও পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সৃজনশীল জাতি গঠনে পাঠাগারের গুরুত্ব অপরিসীম। সে লক্ষ্যে জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় ও ছায়া নীড় নামে একটি সংগঠনের সৌজন্যে ভূঞাপুর থানা মুক্ত পাঠাগার স্থাপন করি। থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন এখানে তাদের পছন্দের বই পড়তে পারবেন। এছাড়া বই ফেরত দেওয়ার শর্তে বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *