দেলদুয়ার প্রতিনিধি: দেলদুয়ার উপজেলায় শ্বাশুড়ির সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ডুবাইল ইউনিয়নের কুপাখী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর নাম সুমিতা (৩৮)। তিনি মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের মৃত সমেজ উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত সুমিতার স্বামী মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে সুমিতা’র সঙ্গে দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের কুপাখী গ্রামের মৃত আজগর মিয়ার ছেলে মিনজু মিয়ার পারিপারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি মিনজু মিয়া শ্বশুর বাড়ির ওয়ারিশ সম্পত্তি এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন স্বামী মিনজু মিয়া।
পরে সুমিতা বোনের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলা মহেড়া গ্রামে আশ্রয় নেন। শনিবার কৌশলে ভগ্নীপতি আমির হোসেনের মাধ্যমে মোবাইলে স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে বলে। সরল মনে সুমিতা তার বোন ববিতা ও তার মা হালিমাকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার স্বামীর বাড়ি আসে। রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী মিনজু মিয়া গাছ কাটায় ব্যবহৃত রডের তৈরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি স্ত্রীকে কোপালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় বাঁধা দিলে মা হালিমা ও বোন ববিতা আহত হন।
সুমিতার মা হালিমা বেগম জানান, মেয়েকে তার সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মেয়ের চিৎকারে কেউ এগিয়ে এলো না। ওয়ারিশের সামান্য কিছু টাকার জন্য তাদের তিনজনকেই হত্যা করতে চেয়েছিল মিনজু মিয়া।
দেলদুয়ার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।