নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি রবি মৌসুমে টাঙ্গাইল জেলার চার হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের গমের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম।
বর্তমানে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা যায় মাঠে পাকা গমের সোনালী ডগা বাতাসে দোল খাচ্ছে। কোনো কোনো জমিতে এখনো কিছু গমের ডগা কাঁচা রয়েছে। অল্প কয়েক দিন পর জমি থেকে চাষিরা গম কাটা শুরু করতে পারবেন। রোগ বালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। বিগত সময়ের চেয়ে এবার গমের দানা খুব ভালো এসেছে। যদি আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত গমের অনুকূলে থাকে ও গমের বাজার ভালো থাকে তাহলে চাষিরা লাভবান হবেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গম চাষে তেমন পানি, সার, কীটনাশক, বালাইনাশক ও পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না বলে খরচ অনেক কম। আর কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করা যায়। গম কেটে নেওয়ার পর গমের গাছ জ্বালানি ও বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এসব বিবেচনায় নিশ্চিত করে বলা যায় গম চাষ একটি অধিক লাভজনক আবাদ। গমের বিশাল ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশে প্রতি বছর বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশের অনাবাদি জমিগুলো আবাদের আওতায় আনার কোন বিকল্প নেই।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহ্সানুল বাসার বলেন, লাভজনক এই গম চাষে চাষিদের আগ্রহী করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের গমবীজ, সার, বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও চাষিদের গমের রোগ প্রতিরোধ করে ভালো ফলনের লক্ষে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে কৃষি অফিস।