নিজস্ব প্রতিবেদক: ছেলে কর্তৃক মাকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ছেলে বাদশা মিয়া (৫৫)কে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা। আজ রোববার ভোরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত বাদশা মিয়া (৫৫) টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কালোহা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, বোনের সঙ্গে ঝগড়া হয় বাদশা মিয়ার। বাঁশের লাঠি দিয়ে বোনকে আঘাত করতে যান। মা এসে সেই লাঠি কেড়ে নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠানে পড়ে থাকা দা নিয়ে মাকে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর কেটে গেছে ২৭ বছর। সে ঘটনায় ১৯ বছর আগে আদালত বাদশাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। নাম বদল করে এত দিন আত্মগোপনে ছিলেন বাদশা।
আজ দুপুরে টাঙ্গাইলে র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১৪–এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের।
তিনি বলেন, মাকে হত্যার পরেই বাদশা মিয়া পালিয়ে যান। তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর নাম দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। প্রথমে ঢাকা মহানগরের বাড্ডা এলাকায় থাকতেন। ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কান্দাইল এলাকায় বসবাস শুরু করেন। প্রথমে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত চার বছর ধরে কান্দাইল এলাকায় চায়ের দোকান দেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে কালিহাতী থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পর বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় হত্যা মামলা করা হয়। বিচার শেষে ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত বাদশা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।