অজ্ঞাত রোগে বাগানের বাউকুল নষ্ট: কৃষি অফিসের সহযোগিতা না করার অভিযোগ

কৃষি সখিপুর

সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুরে অজ্ঞাত রোগে নষ্ট হয়েছে কৃষকের দুই একর জমিতে লাগানো এক হাজার চারার বাউকুল বড়ই। রোগ নির্নয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সহযোগিতা মেলেনি উপজেলার কৃষি অফিসের। ফলে লোকসানে দিশেহারা ওই বাউকুল বাগানের মালিক এনামুল অভিযোগ করেন।

জানা যায়, এবার বাম্পার ফলনে হয়েছিলো। লাভবান হওয়ার স্বপ্নও দেখেছিলো কৃষক এনামুল। কিন্তু অজ্ঞাত রোগে বাউকুল কয়েকদিনেই লালচে হয়ে গাছেই মরে যায়। হতাশাজনকভাবে উপজেলা কৃষি অফিসে একাধিক বার যোগাযোগ করেও বাগানে যায়নি কোন কৃষি অফিসে কোন মাঠকর্মী। এতে লোকসান হতে পারে কৃষক এনামুলের কয়েক লাখ টাকা।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের প্রতিটি গাছেই ঝুলেছে বাউকুল। কিন্তু বাজারজাতের আগেই লালচে হয়ে গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন গাছে নিচে বিছিয়ে পড়ে আছে বাউকুল। কি রোগ জানেন না বড়ই চাষী।

বাউকুল বড়ই বাগানের মালিক এনামুল বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে বড়ই বাগান করেছিলাম। ফলন ভাল হয়েছিলো। বাজারজাত করার আগেই বাউকুল বড়ই গাছেই শুকিয়ে মরে যেতে থাকে। দুশ্চিন্তায় পড়ে যোগাযোগ করি উপজেলার কৃষি অফিসে। কৃষি অফিসের লোক আসবে আসছি বলেই দিনের পর দিন সময় নেয়। এদিকে কয়েকদিনে পুরো বাগানে বাউকুল বড়ই নষ্ট হয়ে যায়। আমার একমাত্র আয় উৎস ছিল এ বাগান। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। তিনি আরোও বলেন, কৃষি অফিসের একটি পিয়নও যদি আমার বাগান দেখতে আসতো তবে মনে শান্তি পেতাম। আমরা কৃষক আমাদের জন্য সরকার উপজেলা ভিত্তিক এই কৃষি অফিস। কৃষকের কাজে না আসলে কৃষি অফিসের দরকার কি?

সখীপুর উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আয়শা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, ওই বড়ই চাষী তার বাগনের রোগ সম্পর্কে আমাকে কখনো কিছু জানাই নাই। জানলে অবশ্যয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো। বড়ই বাগানের রোগ নির্নয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *