নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাতের তিন দিনের জেলা ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে। শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি যোহরের নামাজের আগে এই আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের জিম্মাদার ওয়াসিফুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন। গত বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ফজরের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে এই ইজতেমা শুরু হয়।
এই ইজতেমা আয়োজনকে ঘিরে সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। জুবায়েরপন্থীরা প্রশাসনের কাছে এই আয়োজন বন্ধের দাবি জানায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংসা হয় ও সাদপন্থীদের আয়োজিত এই ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ভাতকুড়া গ্রামে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফজরের পর থেকে এই ইজতেমা শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কয়েক হাজার মুসল্লি এই ইজতেমায় অংশ নেন। নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছিল।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির খাদেম মুফতি মোস্তফা খলিল চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার ফজরের পর থেকে ইজতেমার মূল আমল শুরু হয়। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই ইজতেমা শেষ হলো। ইজতেমার প্রধান মাঠে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
অপরদিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জুবায়েরপন্থীরা অভিযোগ করেন, ভাতকুড়া এলাকার ইজতেমায় নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হবে। তাই তাঁরা ইজতেমার বন্ধের দাবি জানান। এই দাবিতে তাঁরা টাঙ্গাইল শহরের মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তবে বুধবার রাতেই তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি ছেড়ে চলে যান।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, আমরা দেশের সংবিধান ও আইন নিয়ে কাজ করি। সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। ধর্ম পালনে কোন পক্ষকে আমরা কোনদিন বাঁধা দিবো না। যদিও বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষ আছে। তারাও যদি করতে চায়, আমরা সহায়তা করবো। এরা যেভাবে করছে, তারাও এভাবে করবে। কিন্তু আমরা একপক্ষ অন্যপক্ষকে বাঁধা দিতে দেব না। যে পক্ষই করতে চায়, সেটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করার জন্য আমাদের যতটুকু সহায়তা করা দরকার, আমাদের সেটুকু আমরা করব। ইজতেমাস্থলে পুলিশের তৎপরতা ছিলো।