নাগরপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক নতুন মহাসড়ক নির্মাণে চলমান অধিগ্রহণকৃত এলাইনমেন্টের মধ্যে নতুন বিল্ডিং বা যে কোনো ধরণের অবকাঠামো নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব বিভাগ) টাঙ্গাইল। গত ১৯ জানুয়ারি ইস্যুকৃত স্মারক সূত্র চিঠিতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক এই মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণের জন্য নেওয়া অধিগ্রহণ প্রকল্পের প্রায় ২৫০ একর জমির এলাইনমেন্টের মধ্যে নতুন কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সহবতপুরের নলসন্ধ্যা, এমপি রোড, খোয়ারঘাট ও নাগরপুর সদর এলাকায় আঞ্চলিক এই মহাসড়কের পাশে বিল্ডিংসহ বিভিন্ন নতুন স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রায় ১,৬৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইল-নাগরপুর-ধুবড়িয়া-বরংগাইল সড়ক প্রশস্থকরণ প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পর থেকেই অজানা এক সিন্ডিকেট জনসাধারণে ভূয়া তথ্য দিয়ে নতুন স্থাপনা নির্মাণে উৎসাহ দিয়ে আসছে। এতে অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণ মূল্য অধিক পাওয়ার আশায় কেউ কেউ নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। যার ফলস্বরূপ সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা জারি প্রসঙ্গে ও জনসাধারণকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ জানিয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইল থেকে আরিচা পর্যন্ত যে আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্থকরণ, সেটির কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং তার অংশ হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ চলমান রয়েছে। সড়কের পার্শ্ববর্তী যাদের জমি আছে তারা অধিক লাভবান হওয়ার জন্য মূলত জনস্বার্থ বিরোধী নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করছে।
এটি আমাদের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭ এ স্পষ্টভাবে বলা আছে, অবৈধভাবে জনস্বার্থ বিরোধী যদি কোনো ব্যক্তি অধিক লাভবান হওয়ার জন্য কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করে তাহলে সেটা অবশ্যই যৌথ তালিকায় ধরা পড়বে। এতে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে না। সুতরাং জনসাধারণের প্রতি আহ্বান থাকবে যেনো মহাসড়কের পাশে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ থেকে তারা বিরত থাকে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকা যেতে সময় ও দূরত্ব কম লাগায় খুবই অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক। প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ শেষে দ্রুত এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এতে বদলে যাবে নাগরপুর অঞ্চলের সামগ্রিক চিত্র।