সখীপুরে আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রাজনীতি সখিপুর

সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমন্বয় না করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সোমবার ৩০ জানুয়ারি বিকেলে সখীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটির সংশোধনের জন্য সময় বেঁধে দেন।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শওকত শিকদার। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়সহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সম্মেলন হওয়ার ১৪ মাস পর গতকাল রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা রাতেই বিক্ষোভ মিছিল, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। আজ সোমবার বিকেল তিনটায় ভাঙচুরের প্রতিবাদে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুসারীরা তালতলা চত্বরে প্রতিবাদ সভার ডাক দিলে উপজেলা আওয়ামী লীগও একই স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে তালতলা চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে দুইপক্ষের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এর ফলে দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত সিকদারকে সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এর প্রায় ১৪ মাস পর রোববার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের সই করা ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার বলেন, আমরা যে কমিটি জমা দিয়েছি সেই কমিটি থেকে ২৩জনকে বাদ দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর ইচ্ছে মতো পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন।

সদ্য ঘোষিত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহোদর এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, সভাপতি-সম্পাদক এক বছর সময় নিয়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে সংসদ সদস্য তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছেন।

কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের লোকজন সরকারি সা’দত কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলীম মাহমুদকে তারা লাঞ্ছিত করে। এছাড়াও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ স্থিতিশীল রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান বুলবুল, যুগ্ম সম্পাদক ডিএম শরিফুল ইসলাম শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর তারেক, সাইফুল ইসলাম শামীম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম কাজী বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *