ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীর রক্ষা গাইড বাঁধ না থাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক বসত-ভিটা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা ইতোমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা জিও ব্যাগও কাজে আসছে না। ফলে যমুনা পাড়ের বাসিন্দারা এক চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন।
জানা যায়, চলতি সপ্তাহে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের সর্বত্রই পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া চরাঞ্চলে তিল ও পাটসহ নানা ধরনের ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে চরাঞ্চলবাসী হঠাৎ করে চরম বিপাকে পড়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া, চিতুলিয়াপাড়া, মাটিকাটা, খানুরবাড়ী, কোনাবাড়ী, সিরাজকান্দি ও সারপলশিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যমুনা নদীর তীরবর্তী গাইড বাঁধের কাছে বসানো হয়েছে শতশত ড্রেজার। এ কারণে প্রতি বছরই ভাঙনের কবলে পড়ে বসত-ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন চকদার বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে গত বুধবার রাতে চিতুলিয়াপাড়ায় নিমিষেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ১৫-২০টি বসত-ভিটা। একদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভাঙনের শিকার হতে পারে আরও অর্ধশত ঘরবাড়ি ও বসত-ভিটা।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, যমুনা নদীতে পানি হঠাৎ বৃদ্ধির কারণে কয়েকদিন ধরে উপজেলার গোবিন্দাসী, চিতুলিয়াপাড়া, কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ী ও পাটিতাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখার খবর পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।