ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে ভূঞাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ৪ জন মাদকাসক্ত যুবককে মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে আটক করলেও রহস্যজনকভাবে ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয় অভিযোগ উঠেছে। আর মাত্র ১ জনকে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরবামন হাটা এলাকায় এসআই শরীফ হায়দার আলী ও এএসআই অন্তর কুমার দাস ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাদক সেবন অবস্থায় চারজনকে হাতে নাতে আটক করেন। পরে তিনজনকে বিভিন্ন তদবিরে ছেড়ে দেয়া হলেও শুক্কুর আলীর ছেলে রিপন শেখকে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেয়া হয়। পরে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।
এদিকে, ৪ জনকে আটকের পর ৩ জনকে ছেড়ে দেয়ার বিষয় জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া এবং মামলায় উল্লেখ করা মাদকের পরিমাণ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। থানা থেকে মাদক বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে চিত্রটা ভিন্ন দেখা যাচ্ছে।
এদিকে মাদকসহ একজন আটক লিখে ভূঞাপুর থানার ফেসবুক পেইজে পোস্ট দেয়ার পর কড়া মন্তব্যের ঝড় উঠে। প্রশ্ন উঠছে, “হাতেনাতে ধরার পরও তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার কারণ কী? “আইন কি সবার জন্য সমান নয়? “কার নির্দেশে বা কিসের বিনিময়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো?” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কঠোর ভূমিকাই আমাদের আশা। কিন্তু এমন ঘটনা মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়।
এমন অভিযোগের বিষয়ে ভূঞাপুর থানার এসআই শরীফ হায়দার আলী জানান, একসঙ্গে তারা ৪ জন মাদক সেবনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। সে সময় তাদের মধ্যে একজনের কাছে মাদক পাওয়া যায়। পরে যার কাছে মাদক পেয়েছি তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় এবং তার নামেই মামলা হয়। বাকি তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এস আই শরীফকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি বাকি তিনজনের কাছে মাদক পাওয়া যায়নি বিধায়, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই, কোন তদবির নেই।