নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে চার দফা দাবিতে জেলার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। সোমবার থেকে তারা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেন।
শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সরেজমিন দেখা যায়, বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও শ্রেণীকক্ষে পাঠদান হয়নি। কয়েকজন শিক্ষক জানান, সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেট প্রকাশ করতে হবে। বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ,পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দিতে হবে। ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন নামের এক অভিভাবক বলেন, বছরের শেষ মুহুর্তে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আন্দোলন করা আমার মতে ঠিক হচ্ছে না। সরকারের কাছে তাদের যৌক্তিক দাবি থাকলেও সেগুলো বছরের শুরু করতে পারতো।
টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, শুধু টাঙ্গাইলে না, পুরো দেশেই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছেন। জেলায় ১৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও পাঁচটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন।