মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যান হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী একটি সমর্থন রয়েছে। সবাই ফ্যাসিবাসীর ব্যবস্থার সমর্থন করেনি। পরিস্থিতির কারণে দল করেছে কিন্তু এলাকায় মানুষের ওপরে কোনো জুলুম ও নির্যাতন করেনি।
তিনি বলেন, আমি বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাবো, আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মী যারা রাজনীতি করতে চান, তাদের আমরা সব দলে জায়গা করে দেবো।
সোমবার, ১৭ নভেম্বর দুপুরে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ভিপি নুর।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, শুধু একটি দিনে ফুল দিয়ে কিংবা প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় ভাসানীকে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ গঠনের উদ্যোক্তাদের অন্যতম নেতা হয়েও তিনি কিন্তু শুরুতেই আওয়ামী লীগ থেকে সরে গিয়েছিলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, কিন্তু কেউ যদি ছদ্মবেশ ধারণ করে অন্য দলে ঢুকে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়—সেটাও সেসব দলকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কিছু জায়গায় দেখেছি। দিনে অন্য দল করে, রাতে আওয়ামী লীগের গোপন মিটিং করে।
আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, নাশকতা করার জন্য। এ ধরনের দুর্বৃত্তদের যেন কোনো দলে জায়গা না দেওয়া হয়। সে বিষয়ে আমরা সতর্ক করছি। দুর্বৃত্তদের জায়গা কারাগার ও জেলখানা।
তিনি বলেন, ‘ডাকসুর ভিপি হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা দেশে যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই রক্ত ঝরিয়েছি। টাঙ্গাইলে ভাসানীর মাজারে এসেও রক্ত ঝরিয়েছি। গণ-অভ্যুত্থানেও গণ অধিকার পরিষদের ১২ নেতাকর্মীসহ ২ সহস্রাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন। এই দেশের মানুষ ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পূর্বে গত তিন দশক ধরে, ৯০ থেকে ২৪ পর্যন্ত দুটি বড় রাজনৈতিক দলের বলয়ে রাজনীতি করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। যেসব ছোট দল ছিল, ওই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বলয়কে কেন্দ্র করেই ছিল।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান, কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক শামীমুর রহমান সাগর প্রমুখসহ জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।