সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর উপজেলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের তৈরি একটি কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার চলছে। উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের ওপর আগে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ছিল। সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের পিছু পিছু ঘুরেও গোহালিয়া খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করতে পারেনি তারা। ফলে সেখানে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে জনসাধারণের।
সরজমিনে জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের গোহালিয়া খালের উত্তরের শেষ সীমানায় কাঠের সাঁকোটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা। কোনোরকমে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও প্যাডেলচালিত ভ্যানগাড়ি পারাপার হচ্ছে। তবে ওই সাঁকো দিয়ে ইঞ্জিনচালিত কোনো ধরনের যানবাহন চলে না। ফলে প্রতিনিয়ত রোগী ও মালপত্র পরিবহন করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীর।
গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, বর্ষাকালে আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। মালামাল বহন করতে একটি সেতুর জন্য আমাদের প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবে।
বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, খালের ওপারে আমাদের বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছে। এ সাঁকোটির যদি স্থায়ী একটা সমাধান হতো, তাহলে ছেলেমেয়েরা নিরাপদে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে পারত।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশ কয়েকবার কাঠের সাঁকো নির্মাণ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে গোহালিয়া খালের ওপর দ্রুত সেতু নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, গোহালিয়া খালের ওপর সেতু নির্মাণের বিষয়টি এলজিইডির কোনো প্রকল্পে আপাতত অন্তর্ভুক্ত নেই। তবে এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠাব।