হাফিজুর রহমান,ধনবাড়ী প্রতিনিধি: মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে ধনবাড়ী উপজেলায় ৩৫টি মন্দিরে শুরু হয়েছে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। কাঁসর, ঘন্টা, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে ভোর থেকেই মন্দিরগুলোতে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ইতিমধ্যেই ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরির্দশন করেছেন।
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনের এই উৎসব শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
ধনবাড়ী পূজা উদযাপন ফন্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩৫টি মন্দিরে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরের ৬টি মন্দিরে এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়েন ২৯টি মন্দিরে পূজা উদযাপন শুরু হয়েছে।
ধনবাড়ী পৌরসভার বাগবাড়ী সার্বজনীন পূজা মন্ডপের মন্দিরের পুরোহিত প্রীতেশ চক্রবর্তী জানান, দেবীর বোধন হয় ষষ্ঠীতে অর্থাৎ সূর্যাস্তের পরে এটাই নিয়ম। শনিবার সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত পঞ্চমী ছিল। এরপর থেকে ষষ্ঠী শুরু হয়ে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকে। সোমবার বেলা ১২টা ৫৬ পর্যন্ত ৭ম ছিলো। এরপর থেকেই ৮মী শুরু হয়ে মঙ্গলবার বেলা ১টা ৫০ পর্যন্ত থাকবে। এর নবমী ও বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে বিসর্জন ঘটবে।
ধনবাড়ীর বাগবাড়ী সার্বজনীন পূজা মন্ডপের মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক কমিশনার তাপস দে জানান, মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি। সবদিক বিবেচনায় আমরা এবার আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন শুরু করেছি।
ধনবাড়ী পূজা উদযাপন ফন্টের আহবায়ক বাবু নিরঞ্জন দাস জানান, উপজেলার ৩৫টি মন্দিরে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন শুরু হয়েছে। আমাদের মন্দিরে প্রশাসনের উপস্থিতি সন্তোষজনক। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে ধনবাড়ীতে হিন্দু-মুসলমান সামাজিক সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করি। হিন্দুদের সাথে মুসলমানেরও পূজা মন্ডপে পাহাড়াই দায়ত্বি পালন করে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ জানান, পূজাকে ঘিরে উপজেলায় কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। প্রতিটি পূজা মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়ত্বি পালন করছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়তই খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিতে নিরাপদে উদযাপিত হবে এই দুর্গোৎসব এমনটাই প্রত্যাশা করছি।