নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সর্দারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার, ২৭ আগস্ট দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন মো. সোহাগ মন্ডল (৪১), মিন্টু (৩৮), মোশাররফ (৩৭), জসিম (৩৩), আমিনুল (৩৬), আনোয়ার (৩৯) ও ময়নাল (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৮ আগস্ট ভোর রাতে ঘাটাইলের চকপাকুটিয়ার স্বর্ণকার অমল বণিকের বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অমল বণিকের মা কৃষ্ণা রাণীকে ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, সোনা, রূপা, পিতলের প্রতিমা ও মোবাইল ফোন সেটসহ ছয় লাখ টাকার মালামাল লুট করে। ডাকাতির সময় অমল বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। এলাকার লোকজন অমলের ডাক চিৎকারে টের পেলে ডাকাতরা আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, অমর বণিক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করলে ২৪ আগস্ট রাতে কালিয়াকৈরের সফিপুর থেকে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মো. সোহাগ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হোতা মিন্টুকে মঙ্গলবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, মিন্টুর তথ্যের ভিত্তিতে অন্য পাঁচ আসামিদের গাজীপুর কোনাবাড়ি থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং লুণ্ঠিত মালামাল সোনা ও রুপা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার সাত আসামি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল, ৫ রত্তি সোনা ও ৩৪ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী শাহনেওয়াজ, টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহাম্মেদ, ডিবি উত্তরের ওসি এবিএম এস দোহা, ডিবি দক্ষিণের ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার ও ডিআই ওয়ান হারেচ আলীসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।