সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী আরবীয় খেজুর চাষ সাফল্য অর্জন করেছে।
সম্প্রতি সকালে কাকড়াজান ইউনিয়নের হ্যাঙ্গারচালা গ্রামে সরেজমিনে চান মামুদ এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৪০ শতক জমির উপর সৌদি খেজুরের চাষ করা হয়েছে।
বাগানের মালিক সাদিকুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার সুবাদে সৌদি খেজুরের চাষের প্রতি তার আগ্রহ হয়। সাদিকের ভাষ্য মতে, প্রথমে ইউটিউব দেখে সৌদি খেজুরের কিছু বীজ সংগ্রহ করে তা থেকে চারা উৎপাদন করি। শুরুতে কিছু চারা নানা কারণে মারা যায়। বাগানের অন্য চারার মধ্যে থেকে একটি গাছে ফুলের মুকুল দেখে পুলকিত হই। সেই ফুল আস্তে আস্তে ফলে পরিনত হয়। আমি প্রতিদিন বাগানের যত্ন নেওয়ার সময় পরিবারের লোকজন ছাড়াও প্রতিবেশীরা নানাভাবে নিরুৎসাহিত করেছে। অনেকে গাছগুলো কেটে অন্য কিছু আবাদ করার পরামর্শ দিয়েছে। সৌদি খেজুর আমাদের এলাকার মাটির উপযোগী নয় এমন কথা বলেছে। আমি কখনো আশা ছাড়িনি।
তিনি আরো বলেন, কেন যেন আমার মনে হয়েছে আমাদের এলাকায় যে কোন ফসল চাষের উপযোগী, তাই এটাও সম্ভব। আল্লাহ আমার দিকে তাকিয়েছে। আমার মাত্র ২ফুট উচ্চতার একটি গাছে খেজুর ধরেছে। আমার বাগানে একটি গাছে ইতিমধ্যে খেজুরের কয়েকটি কাদি হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চারা কিনতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করছে। স্থানীয়রা সৌদি খেজুর দেখতে ভীড় করছে। আমার ইচ্ছে খেজুরগুলো পরিপক্ব হলে পরিবার পরিজন ও এতিমখানা দিয়ে দেব। আমার আরও ব্যাপক পরিসরে বাগান করার ইচ্ছে আছে। আমাদের এলাকা সৌদি খেজুর চাষের খুবই উপযোগী মাটি।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিয়ন্তা বর্মণ বলেন, এই উপজেলা প্রায় সবরকম ফসল চাষের সম্ভবনাময় এলাকা। ইতিমধ্যে ড্রাগন, খেজুরসহ কিছু বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। কাকড়াজান ইউনিয়নে একটি গাছে আরবীয় খেজুরের ফলন হওয়ার খবর শুনেছি। তিনি আরও জানান, কৃষিভিত্তিক সম্ভাবনাময় উদ্যোগে তথ্যসেবা দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।