ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
বুধবার, ৪ জুন সকাল থেকে এই মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। তবে চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক গতিতে চলছে যানবাহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কে আগের তুলনায় কয়েকগুণ যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে মহাসড়কে গণপরিহন সংকট দেখা দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের দিকে গাড়িগুলোর চাপ বেশি। এসব গাড়ির সবগুলোই ছিল যাত্রীতে ভরা। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে ফেরা গাড়িগুলো অনেকাংশে খালি অবস্থায় দেখা গেছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোড়াই থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়কে সার্বিক নিরাপত্তায় ও ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে জেলা পুলিশের প্রায় ৬ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রয়েছে সড়কে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক শরীফা হক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ২৩টি জেলার ৯৮টি রুটের পরিবহন চলাচল করে। যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯ টাকা।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার (২ জুন) রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৭ হাজার ৬৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৯০৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় ১ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার ৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই দুটি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেলের জন্য পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, এখন পর্যন্ত ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। তবে আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।