সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুরে শিক্ষক নাজমুল হুদা ও কাজল আক্তার দম্পতির বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের চকচকিয়া শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির কেয়ারটেকারকে হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ পেঁচিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান।
জানা যায়, নাজমুল হুদা ঢনঢনিয়া ছোটচওনা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। কাজল আক্তার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নাজমুল শিক্ষকতার পাশাপাশি উপজেলার বড়চওনা বাজারে পোলট্রি খাদ্য ও ওষুধের ব্যবসা করেন।
নাজমুল হুদা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বড়চওনা বাজারের একটি বাসায় থাকেন। ডাকাতির খবর পেয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে গ্রামের বাড়ি ফিরে তিনি বলেন, রাত সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর বাবা মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যান। তাঁর মা পাশের পুরোনো বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ সময় বাড়িতে শুধু কেয়ারটেকার জয়ন্ত বর্মণ ছিলেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল বাড়িতে ঢুকে জয়ন্তকে খাটের সঙ্গে বেঁধে মুখে টেপ পেঁচিয়ে রাখে। ডাকাতেরা দুটি আলমারি ভেঙে লক্ষাধিক টাকা ও আনুমানিক ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
জয়ন্ত বর্মণ বলেন, ডাকাতদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। মুখে মাস্ক পরা ছিল। তাঁকে বাঁধার সময় একজন ডাকাত তাঁকে চড় থাপ্পড় মারে। ডাকাত দল বাড়িতে ঘণ্টাখানেক ছিল। নামাজ শেষে নাজমুল হুদার বাবা বাড়িতে গিয়ে কেয়ারটেকারকে বাঁধা অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
কাঁকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেজবাহ উদ্দিন বলেন, দুই মাস আগে আমাদের এ গ্রামে আবদুস সালাম নামের এক ব্যবসায়ী খুন হন। পুলিশ এখনো কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। আবার সন্ধ্যা রাতে ডাকাতি হলো। এ অবস্থায় গ্রামের সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, রাতেই নাজমুল হুদা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।