হলিউডের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘স্নো হোয়াইট’ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ডিজনির এই নতুন প্রজেক্ট নিয়ে সমালোচনা থাকলেও প্রশংসার পরিমাণও কম নয়। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মার্ক ওয়েব, যিনি এর আগে ‘ফাইভ হান্ড্রেড ডেজ অফ সামার’ ও ‘দ্য অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান’ নির্মাণ করেছেন।
এটি মূলত ১৯৩৭ সালের ডিজনি ক্লাসিক ‘স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস’-এর রিমেক। প্রায় নয় দশক পর সেই ঐতিহ্যবাহী গল্প নতুন রূপে পর্দায় আসতে চলেছে। শিরোনাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন র্যাচেল জেগলার, আর ইভিল কুইনের ভূমিকায় দেখা যাবে গ্যাল গ্যাদতকে। গল্পে দেখা যাবে, তার সৎ মা যখন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, তখন স্নো হোয়াইট বনবাসে যেতে বাধ্য হন। সেখানে সাত বামনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তিনি রাজ্য ফিরে পাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সিনেমাটিতে অ্যান্ড্রু বার্নাপ নতুন এক রাজকুমারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ডিজনি লাইভ-অ্যাকশন রিমেক তৈরির ধারাবাহিকতায় ‘স্নো হোয়াইট’ নতুন সংযোজন। একই সঙ্গে, আগামী মে মাসে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’-এর লাইভ-অ্যাকশন সংস্করণও মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
সিনেমাটির মুক্তির তারিখ ২১ মার্চ নির্ধারিত হলেও এটি আরও আগে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। মূলত ২০২০ সালের মার্চে শুটিং শুরুর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু কোভিড মহামারির কারণে সেটি পিছিয়ে যায় এবং অবশেষে ২০২২ সালের মার্চে শুটিং শুরু হয়। তবে প্রথম থেকেই সিনেমাটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
মূল ‘স্নো হোয়াইট’ সিনেমাকে “সেকেলে” বলে মন্তব্য করেন র্যাচেল জেগলার, যা অনেক ডিজনি ভক্তের ক্ষোভের কারণ হয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাজপুত্র তাকে বাঁচাতে আসবে না। সে সত্যিকারের ভালোবাসার স্বপ্ন দেখবে না, বরং এমন নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখবে, যা সে নিজেই হতে পারে।” এই পরিবর্তিত গল্পের ধারা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।