মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুরে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি ফিরোজকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) দিনগত রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকা থেকে মির্জাপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ফিরোজ জেলার মির্জাপুর উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামের আব্দুল রশিদ মিয়ার ছেলে। সে পেশায় অটোরিকশা চালক। এর আগে এ ঘটনায় ফিরোজের ছেলে সাব্বির হোসাইনকে (২১) মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন রামনগর গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অটোরিকশাচালক ফিরোজ শিশুটির নানির বাড়ির পাশের জমিতে সার দিচ্ছিল। এ সময় ওই জমির সঙ্গেই শিশুটি বরই গাছ থেকে বরই কুড়াচ্ছিল। তখন ফিরোজ শিশুটিকে কৌশলে ডেকে একটি টয়লেটের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখানো হয়। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি চুপচাপ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে বারবার জিজ্ঞেস করায় একপর্যায়ে কান্না করে পুরো ঘটনা মাকে খুলে বলে।
ধীরে ধীরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষণের ঘটনার ধামাচাপা দিতে স্থানীয় আব্দুল মালেক, ইউনূস, বাবলু, নূরুল ইসলামসহ কয়েকজন মাতব্বর ঘটনার সপ্তাহখানেক পর গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে। সালিশে অভিযুক্ত ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গ্রাম্য মাতবরদের চাপের মুখে সালিশটি মেনে নেয় অসহায় পরিবারটি। তবে জরিমানার টাকাগুলো ভুক্তভোগী পরিবারকে দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় গত ৮ মার্চ রাতে ভুক্তভোগী পরিবার ফিরোজকে প্রধান করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামি ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।’