অপরাধের শাস্তিটা মাঠেই পেয়েছিলেন অলিম্পিক লিঁওর কোচ পাওলো ফনসেকা। গত রোববার ব্রেস্তকে ২-১ গোলে হারানোর ম্যাচে লাল কার্ড দেখে। পরে মাঠের আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে রেফারির কাছে ক্ষমাও চান অলিম্পিক লিঁওর কোচ। কিন্তু তবু মুক্তি পেলেন না তিনি।
আসলে অপরাধের মাত্রা বেশি হওয়ায় বড় শাস্তিই পেয়েছেন ফনসেকা। ম্যাচে পেনাল্টি দেওয়ার ঘটনায় রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ঢুস মারায় ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। বড় শাস্তি যে ফনসেকা পেতে যাচ্ছেন তা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। লিগ আঁর সর্বশেষ ম্যাচে ঘরের মাঠ গ্রুপামা স্টেডিয়ামে ব্রেস্তের মুখোমুখি হয়েছিল লিঁও।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি বেনোয়া মিয়ে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রেফারিকে ঢুস মেরে বসেন লিঁওর কোচ। ৫২ বছর বয়সী পর্তুগিজ কোচকে পরে লাল কার্ড দেখান রেফারি মিয়ে। কোচ ফনসেকা অপরাধের শাস্তি পেলেও ভিএআরের সিদ্ধান্ত লিঁওর পক্ষেই যায়।
রেফারির সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিঁও। কিন্তু আজ যখন রাতে ইউরোপা লিগের ম্যাচে রোমানিয়ার ক্লাব স্টুয়া বুখারেস্টের বিপক্ষে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন কোচের এমন দুঃসংবাদ শুনল ফরাসি ক্লাব। লিগ আঁর শৃঙ্খলা কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দলের ডাগআউটে দাঁড়াতে পারবেন না ফনসেকা। সঙ্গে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিজ দলের ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করতেও মানা রয়েছে তার। কমিশনের সভাপতি সেবাস্তিয়েন দুনেই বলেছেন, ‘রেফারির দিকে তেড়ে গিয়ে চিৎকার করে ভয় দেখিয়েছেন ফনসেকা। সঙ্গে হুমকিমূলক মনোভাব দেখিয়েছেন।’