মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইফ সায়েন্স অনুষদের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘লাইফ সায়েন্স বিষয়ক ৩য় আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার, ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কনফারেন্স হলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসাইন উদ্দিন শেখর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুল আউয়াল এবং জামালপুর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্সের আহ্বায়ক ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক।
বক্তারা বলেন, লাইফ সায়েন্স মানব জাতির অগ্রগতি ও কল্যাণে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। জীবনের মূল রহস্য উদ্ঘাটন, স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে লাইফ সায়েন্সের অবদান অনস্বীকার্য। আজকের এই সম্মেলন শুধু জ্ঞান বিনিময়ের একটি মাধ্যম নয়, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানব সভ্যতাকে আরও সমৃদ্ধকরার পথ উন্মোচিত হবে।
বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তন শীল পরিস্থিতি এবং নানা চ্যালেঞ্জ, যেমন রোগ প্রতিরোধ, পরিবেশ বিপর্যয় এবং খাদ্য নিরাপত্তা এসব ক্ষেত্রে লাইফ সায়েন্স নতুন দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং সংক্রামক রোগের মতো বহু জটিল সমস্যার সমাধান ইতো মধ্যে বেরিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেকনোলজি এবং সেল থেরাপির মতো ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তরুণ গবেষকরা প্রতিনিয়ত নতুন আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করছে। বক্তাগণ আশা করেন, এই সম্মেলনে উপস্থিত বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা তাদের কাজের মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন এবং আমাদের দেশের পাশাপাশি বিশ্বকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করে তুলবেন।
বক্তারা আরও বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। এই সম্মেলন সেই সহযোগিতার একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
এই সম্মেলনে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নিউম্যাক্সিকোর অধ্যাপক ড. জিয়ারত হোসাইন, জেনোফ্যাক্স অস্ট্রেলিয়ার জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, দক্ষিণ কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হ্যাংমুক চো এবং নেপাল থেকে ৭ জন গবেষক অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ফিলিপাইন থেকে ৫টিসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের সর্বমোট ৫৩০টি গবেষণাপত্র জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে ৪৮৮টি পেপার গৃহীত হয়। সম্মেলনে প্রায় ৮০০ গবেষক রেজিস্ট্রেশন করেছেন।