মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজন ভূয়া ডিবি পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের পশ্চিম গজারিয়া গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে সুমন (৩১) ও একই এলাকার নায় পাদ্যম ওভারিয়া গ্রামের সোলায়মান শেখের ছেলে মোঃ শরীফুল ইসলাম। বুধবার রাতে সুমনকে উপজেলার দেওহাটা এবং শরীফুলকে যমুনা সেতু পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে পুলিশ বিষয়টি জানিয়েছেন।
পুলিশ তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হাইয়েচ মাইক্রোবাস এবং ২৫ হাজার ৭২০ টাকা উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মির্জাপুর থানা পুলিশ জানান, উপজেলার বাওয়ার কুমারজানি পূর্বপাড়া গ্রামের ধনি মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান দেওহাটা বাজারে বিকাশ ও মুুদি ব্যবসা করেন। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় গত ১ অক্টোবর রাত নয়টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নগদ ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ও ১৫টি মোবাইল ফোন নিয়ে চাচাতো ভাই আরিফ সিকদারের সাথে হেটে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত সোয়া নয়টার দিকে আজাদ মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দল হাইয়েচ গাড়ি নিয়ে তাদের গতিরোধ করেন। পরে তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসায়ী বলে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে গাড়িতে তুলে কাপড় দিয়ে মুখ বেধে কিল ঘুষি মারতে থাকে।
এ সময় মিজানুর রহমানের কাছে থাকা ১ লাখ ৭৬ হাজার ও ৫টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। রাত এগারোটার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা আন্ডারপাসের পাশে ফাঁকা জায়গায় ফেলে চম্পট দেয় ডাকাতরা। ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান আজকে মোঃ সুমনকে আসামী করে অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা করেন।
মির্জাপুর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দেওহাটা ও যমুনা সেতু পূর্বপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হাইয়েচ মাইক্রোবাস এবং ২৫ হাজার ৭২০ টাকা উদ্ধার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।