বিনোদন প্রতিবেদক: পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন প্রবর্তিত “মঞ্চকুঁড়ি পদক ২০২৪” পেয়েছে টাঙ্গাইলের শিশু নৃত্যশিল্পী অদ্রতিা মজুমদার আঁচল।
৫ জুলাই, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মঞ্চে তার হাতে পদক ও সনদপত্র তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক ও সংগঠনের সভাপতি সংস্কৃতিজন লিয়াকত আলী লাকী।
টাঙ্গাইলের নৃত্যাঙ্গণের পরিচিত মুখ অদ্রিতা আঁচল ছড়াকার ও কলেজ শিক্ষক কাশীনাথ মজুমদার পিংকু এবং কলেজ শিক্ষক রাখী চক্রবর্তীর একমাত্র কন্যা। তার গ্রামের বাড়ি কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার মশাজান গ্রামে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক গোপীনাথ মজুমদার এবং এলেঙ্গা জিতেন্দ্রবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সঙ্গীতশিল্পী মমতা মজুমদারের নাতনী।
জানা যায়, অদ্রিতার নাচে হাতেখড়ি মাত্র চার বছর বয়সে। তারপর সে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী টাঙ্গাইল জেলা শাখা এবং টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একামেীতে নিয়মিত নৃত্যচর্চা শুরু করে। এই অল্প সময়ে অদ্রিতা পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা। তবে তার চেয়ে বেশি পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা। বর্তমানে জেলা শিল্পকলা একাডেমির চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী অদ্রিতা মজুমদার টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির একজন মেধাবি শিক্ষার্থী।
ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য অদ্রিতা তার নৃত্যগুরু মৌসুমী রহমান মিতা, হারুন অর রশিদ হারুন এবং ইন্দ্রজিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল অফিসার মো. এরশাদুল হাসান স্যারের প্রতিও।
এদিকে অদ্রিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অদ্রিতা যেন ভবিষ্যতে টাঙ্গাইল জেলা এবং দেশের মুখ উজ্জল করতে পারে তার জন্য সবার কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করা হয়।
অদ্রিতার “মঞ্চকুঁড়ি পদক” অর্জনে জেলা কালচারাল অফিসার মো. এরশাদুল হাসান বলেন, অদ্রিতা আঁচল একজন প্রতিভাবান শিশু নৃত্যশিল্পী। নাচের প্রতি তার আগ্রহ আমাদের বিস্মিত করে। ভবিষ্যতে অদ্রিতা অনেক বড় নৃত্যশিল্পী হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।