নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদীর পানি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর জোকারচর পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ফটিকজানি নদীর নলচাপা ব্রিজ পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর কাউলজানী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার ও মধুপুর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এর ফলে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলি জমির পাট, তিলসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে । এদিকে পানি বাড়ার ফলে কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন আরও তীব্র হয়েছে।
এরই মধ্যে জেলার টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলার নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাট, তিলসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। দেখা দিয়েছে বন্যা আতঙ্ক। এ ছাড়াও কয়েকটি জায়গায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। হুমকিতে রয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসাসহ নানা স্থাপনা। এ সকল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা আগাম বন্যার আশঙ্কা করছেন।
ভূঞাপুরের স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমাদের ফসলের জমিগুলো সব পানির নিচে চলে গেছে। ফলে আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বড় বন্যার শঙ্কা করছি। যদি চরাঞ্চল ভাঙনের কবলে পড়ে তবে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে যমুনা, ঝিনাই, ধলেশ্বরীসহ সবকটি নদীর পানি বেড়েছে। আরও কয়েক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।