ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইলে দেশের বিলুপ্তপ্রায় নানা ধরণের ফলের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং সংরক্ষণে উদ্যোগী করতে বিলুপ্তপ্রায় ফলের এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘাটাইল উপজেলার উইজডম ভ্যালি স্কুল প্রাঙ্গণে এই প্রদর্শনী হয়।
জানা যায়, এক সময় দেশের আনাচে-কানাচে নানা প্রজাতির ফল হতো। পথে-পান্তরে দেখা মিলত ছাগলনাদি, ডেউয়া, ডেফল, চাম্বল, তিতিজাম, চুকুর, ডুমুর, টিপফল, করমচাসহ বাহারি রকম ফল। কালের বির্বতনে অনেক বনজঙ্গল বিলীন হওয়ার কারণে এসব ফল আজ বিলুপ্তির পথে।
স্কুল প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিলুপ্তপ্রায় অর্ধশতাধিক দেশি ফলের ডালা। এসব ফলের প্রদর্শনীতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গণ। এসব ফলের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীও। দর্শনার্থীদেরও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিলুপ্ত ফলের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ বলেন, ‘অনেক ফল আমরা শুধু পাঠ্যপুস্তকেই দেখেছি। কিন্তু সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। আজকের উৎসবের মাধ্যমে এসব ফল আমরা দেখতে পারছি ও এর স্বাদও নিতে পারছি। আমাদের খুবই ভালো লাগছে।’
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, ঘাটাইল উপজেলার নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম খান আওয়াল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাজী রেজাউল হক প্রমুখ।
দর্শনার্থীরা জানান, এ ফল উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম বিলুপ্ত ফলের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছে। এসব ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছে। দর্শনার্থীরা এই আয়োজনের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
প্রদর্শনী প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, গত বছর থেকে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জানা এবং লালন করার মানসে বিলুপ্তপ্রায় ফলের প্রদর্শনী শুরু করা হয়েছে। যাতে নতুন প্রজন্ম এসব ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে এবং বিলুপ্তপ্রায় ফল গাছগুলো সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়।