নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে চারটি উপজেলায় নির্বাচনে বেসরকারীভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জেলার সখীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ, বাসাইল উপজেলায় কাজী অলিদ ইসলাম, মির্জাপুর উপজেলায় তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও গোপালপুর উপজেলায় কেএম গিয়াস উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
৫ জুন, বুধবার রাতে নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সখীপুর: সখীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বোয়ালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু সাঈদ মিয়াকে (সাঈদ আজাদ - আনারস প্রতীকে) বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়েছেন। এসময় তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক পৌর মেয়র ও কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রার্থী সানোয়ার হোসেন সজিব গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪১২ ভোট। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে ১৫ হাজার ৯৭৯ ভোট পেয়েছেন।
বাসাইল: বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মত চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম। তিনি আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাঃ শহীদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৫৯ ভোট। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিউর রহমান গাউস (মোটরসাইকেল) প্রতীকে ১২ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়েছেন।
মির্জাপুর: মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রয়াত এমপি একাব্বর হোসেনের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেন সীমান্তকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান এসএম মোজাহিরুল ইসলাম মনির কাপ-পিরিচ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট। এছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী কেন্দ্রীয় মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান (মোটরসাইকেল) প্রতীকে ২১ হাজার ৬৬৪ ভোট পেয়েছেন।
গোপালপুর: গোপালপুর পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কেএম গিয়াস উদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. আইয়ুব খান হেলিকপ্টার প্রতীকে ৯ হাজার ৫৪৪ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও আব্দুল মোমেন (ঘোড়া) প্রতীকে ২ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন, শামসুল আলম (আনারস) প্রতীকে ২ হাজার ২৮ ভোট পেয়েছেন, মাহমুদুল হাসান (কাপ পিরিচ) প্রতীকে ৯৫৭ ভোট পেয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে জানান, চার উপজেলায় নির্বাচনে ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। চার উপজেলার ৩৬৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮ প্লাটুন বিজিবিসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
তিনি আরোও জানান, গোপালপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই উপজেলায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।