সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর উপজেলায় সাংবাদিকের মাথা ফাটানো মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরউদ্দিন মন্টুকে (৭০) গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, টাঙ্গাইল এর এজলাসে শুনানি হয়।
মামলায় আসামী পক্ষে জামিন আবেদনে শুনানি করেন টাঙ্গাইল আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি আইনজীবী শহীদুর রহমান ও রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর (সিএসআই) এবং বাদী পক্ষে শুনানী করেন সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মনোয়ার মোর্শেদ শিশির ও আব্দুল জলিল চৌধুরী। শুনানি শেষে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার বিকেলে আহত সাংবাদিকের স্ত্রী রিতা আক্তার বাদী হয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার পর ওইদিন বেলা দুইটার দিকে সখীপুর প্রেসক্লাবে একটি জরুরি সভায় ২ ঘণ্টার মধ্যে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান সাংবাদিকেরা। পরে পুলিশ বিকেলেই ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলা সড়কে মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের নিচতলায় এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার স্থানীয় উপজেলা প্রতিনিধি, নিউজ টাঙ্গাইলের সম্পাদক এম সাইফুল ইসলাম শাফলু তার নিজ কার্যালয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় ওই কক্ষের ভাড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মনিরউদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাংবাদিকের কক্ষে থাকা এশিয়ান টেলিভিশনের বুম তুলে নিয়ে সাংবাদিকের মাথায় আঘাত করে সটকে পড়েন ওই নেতা।
স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আহত সাংবাদিক শাফলুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সন্ধ্যার দিকে সাংবাদিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান।