নাগরপুর প্রতিনিধি: নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান খান ঝলককে (২৬) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ মধ্যপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর নিহতের বাবা ওই রাতেই বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহত জাহিদ সলিমাবাদ গ্রামের ছামিনুর রহমান খানের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের কাগমারীতে অবস্থিত সরকারি এম এম আলী কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে রানা মিয়া (২২) তার ভাই জিয়াদ (১৯) ও একই গ্রামের জয়ের উদ্দিন এর ছেলে ইমন (১৯)।
নিহত জাহিদ হাসান খানের সাংগঠনিক পরিচয় নিশ্চিত করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিম হোসেন বলেন, ‘এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
এ প্রসঙ্গে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, সোমবার রাতে জাহিদ তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মাঠের কাছে ফাঁকা একটি জায়গায় এলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জাহিদ জানান, রাতেই নিহত জাহিদের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই মামলার আসামি জিয়াদ, ইমন ও রানাকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত জাহিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।